মুহাম্মদ আরফাত হোসেন- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশ বরকল ব্রীজ এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করেছেন উপজেলা প্রশাসন। গত ২ দিনে পৃথক পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলিত ও মজুদকৃত বালু পরিবহণ, বিপনণ ও সরবরাহের জড়িত থাকায় ৬ জনকে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মো. সায়েক। ৪ মার্চ বিকালে র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ অমান্য করে পুনরায় বালু বিপনণ করার অপরাধে উত্তর কেশুয়া এলাকার জামাল হোসনে (৫৫), মো. শাহাব উদ্দিন (৪৫), মাহাবুবুল কবির (৪৮), আহসান হাবিব (৩৮) ও আবদুল মান্নান (৫০)’কে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং গত ৩ মার্চ একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন (৪২) কে ২ লক্ষ টাকাসহ ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনায় ২০১০এর ১৫(১) ধারায় জরিমানা আদায় করেন। জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বৈলতলী একটি স্মরণ সভায় যাওয়ার পথে বরকল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সড়কের দু-পাশে বিশাল বিশাল বালুর স্তু‘প দেখতে পান। অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেন। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মো. সায়েক অভিযান পরিচালনা করে বালু বিক্রেতাদের নিকট কাগজপত্র চান। বালু ব্যবসায়ীরা কাগজপত্র দিতে না পারায় লাল পতাকা দিয়ে বালু বিপনণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সে সাথে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে তার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বালু বিপনণ করতে পারবে বলে জানান। উল্লেখ্য যে, চন্দনাইশে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বরকল ব্রীজ এলাকায় অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসছিল। বরকল ব্রীজের পূর্ব পাশে ১০টি, পশ্চিম পাশে আনোয়ারা পয়েন্টে ২টি স্পটে বালু বিপনণ করে আসছে। এ বালু ব্যবসার সাথে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা জড়িত থাকার কারণে বিগত সময়ে প্রশাসনের লোকজন অনেকটা নিরব ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম যোগদানের পর নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকার কারণে কৃষি জমি থেকে টপসয়েল কাটা ও অবৈধ বালু উত্তোলন অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মো. সায়েক বলেছেন, ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের নিকট কাগজপত্র চাইলে দিতে না পারায় বালু বিপনণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু অদ্যবধি কোন কাগজপত্র না দেখিয়ে পুনরায় বালু বিপনণ করায় পৃথক পৃথক অভিযানে ২টি মামলায় ৬ জনকে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। বালু ব্যবসায়ীরা আজ-কালের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র দেখানোর উপর ভিত্তি করে বালু বিপনণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছে।
leave your comments