চট্টগ্রামে স্বাচিপ ও বিএমএর ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
আজ ২৭ আগস্ট, রবিবার চট্টগ্রাম জেলা
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বিএমএর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতা ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিত হয়; ক্যাম্পেইনকালীন জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ও বিএমএর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. শেখ শফিউল আজমের নেতৃত্বে ও স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শরীফের পরিচালনায় উক্ত ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও স্বাচিপ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, প্রফেসর মনোয়ারুল হক শামীম, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, ডা. শাহাদাত, ডা. আবুল হোসেন শাহীন, র্যাডিকেল ইন্টার্ন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চমেক ল্যাব কনসালটেন্ট এস এম ইকরাম হোসাইন, ডা. রিজোয়ান রায়হান, ডা. শুভ, ডা. সৈকত রায়, ডা. আরিফুল আমিনসহ প্রমুখ চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।
এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহবান করে ডা. শেখ শফিউল আজম ও উপস্থিত বক্তারা বলেন, করোনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ইতোমধ্যে আরও একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়েছে- ডেঙ্গু ফিরছে মহামারী রূপে! হু’র হিসেব অনুযায়ী গতবছর ১২৯টি দেশে মোট প্রায় ৫২ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল; চলতি বছরে ইতিমধ্যেই লাতিন আমেরিকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, পেরু, প্যারাগুয়েতে ডেঙ্গু ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। একই চিত্র বাংলাদেশেও! দেশজুড়ে প্রতি মাসে যে পরিমাণ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তা গত ১০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে! ইতোমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ১১০ জন! সে হিসেবে বলা যায় ডেঙ্গু ইতোমধ্যে বাংলাদেশে স্থানিক মহামারীর পথে!
তারা বলেন, এডিস আজেপ্তাই জাতীয় মশা চরিত্র বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে কামড়ের নির্দিষ্ট সময়ও! কিন্ত ডেঙ্গু জ্বরের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। জ্বর হলে ডোজ অনুযায়ী প্যারাসিটামল নেওয়া যাবে, কিন্তু লক্ষ্মণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত স্ক্রিণিং টেস্ট করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
তবে ডেঙ্গুর প্রতিকারের চেয়েও প্রতিরোধের দিকেই তারা জোর দিয়েছেন; মশারী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মশক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় জরুরি পদক্ষেপের পাশাপাশি আবাসস্থলের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কারে প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। এছাড়াও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে তারা কমিউনিটি বেইজড জনগোষ্ঠীভিত্তিক আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান।
leave your comments