যেই ঘরে কুকুর পালন করা হয় সেই ঘরের কি পরিণতি হয়? প্রিয় দর্শক কুকুর পালন নিয়ে ইস্পষ্ট ভাবে বক্তব্য দিয়েছেন. হাদিস থেকে তা প্রমানিত আমাদের সকলেরই এ বিষয়ে জানা উচিত. আল্লাহ তালা সাত ঘরকে পছন্দ করেন না. তার মধ্যে একটি ঘর সেই ঘর যেই ঘরে মানুষের সাথে কুকুর বসবাস করে. আবু তাল হারাদিয়া আনহু থেকে বর্ণিত বলেন যে বাড়িতে কুকুর থাকে আর বিভিন্ন মানুষজনের ছবি দেওয়ালে টানানো হয় অথবা সবুজে রাখা হয় সেই ঘরে রহমতের ফেরেস্তা প্রবেশ করে না শুধুমাত্র বাড়ির পাহারাদার হিসাবে কুকুর পালন করা জায়েজ আছে এ ছাড়া বিভিন্ন পশুর পালকে রক্ষাকারী হিসাবে কুকুর পালন করা জায়েজ আছে. এছাড়া অন্য কোনোভাবেই নিজের ঘরের ভেতরে সন্তান, সন্ততি, স্ত্রী সকলের সাথে কুকুরকে বসবাস করার করে দেওয়া ইসলামী শরীয়তে জায়েজ নেই.
এ ব্যাপারে জিব্রাইল আলাই সালামের একটি ঘটনা পুরো উম্মতের জন্য একটা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ. একবার হজরত জিব্রাইল সালাম. ঘরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না. তখন আল্লাহ রসুল তার স্ত্রী এর ঘরে ছিলেন অতঃপর জিব্বেল আলে সালাম বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি আপনার ঘরে প্রবেশ করতে পারছি না কারণ আপনার খাটের নিচে একটা কুকুর ছানা রয়েছে. তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলেন অতঃপর হজরত যখন কুকুর ছানাটি খাটের নিচ থেকে বের করে দিলেন. তারপর জিব্রাইল আলাই সালাম ঘরে প্রবেশ করলেন. প্রিয় দর্শক আল্লা সেই ঘরকেও পছন্দ করেন না. যে সকল ঘরে বিভিন্ন মানুষের ছবি টাঙানো থাকে তৃতীয় নম্বর হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কারীর ঘর. আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কারীর ঘরকে আল্লাহতালা ঘৃণা করেন. এই পৃথিবীর অন্যতম একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ হচ্ছে নিকট আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা. এটা মারাত্মক অপরাধ কবিরা গুনাহ সময়ের মধ্যে অন্যতম. এ কারণে মহান আল্লাহ তালা আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারীকে অভিশাপ দিয়েছেন. আল্লাহ তালা বলেন ক্ষমতা পেলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে কলহ সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে এদের প্রতি আল্লাতালা অভিশাপ দেন. এমনকি এরপর তাদের বধির ও দৃষ্টি শক্তিহীন করে দেন. ইমাম গাজালি রহমতুল্লা আলাইহি বলেন চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় যদি আপনি আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেন দর্শক আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে তার উম্মতদেরকে বার বার সতর্ক করেছেন. অনেকে বলেন যে আমার অমুক আত্মীয় অনেক টক্সিক. তিনি অনেক বিষাক্ত মনমানসিকতার তাঁর সাথে তো কোনভাবেই চলা যাবে না.
প্রিয় দর্শক একটা কথা মনে রাখবেন. আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজন নেই যেই ব্যক্তি আপনার জন্য হুমকি স্বরূপ বা আসলেই তিনি মনেপ্রাণে একজন বিষাক্ত প্রকৃতির মানুষ আপনি তার সাথে দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন এবং সৌজন্যতামূলক সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেন এভাবে আপনি তাকে এড়িয়ে চলতে পারেন. কিন্তু সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে যাবেন না. অর্থাৎ আপনার সাথে সাক্ষাৎ হলো at least আপনি তাকে সালাম দেওয়া থেকে বিরত হবেন না. কুশল বিনিময় করা থেকে বিরত হবেন না. তাহলে কিন্তু সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে. আর আপনি গুনাগার হয়ে যাবেন তাই এই ব্যাপারটা খুবই sensitive. চার নম্বর হচ্ছে যেই ঘরে jobby থাকে. জম্মি বলা হয় সেই সকল ব্যক্তিদেরকে যাদের উপর ফরজ গোসল নির্ধারিত হওয়ার পরেও তারা ফরজ গোসলকে অবজ্ঞা করে. অথবা এমনভাবে গোসল করে যে শুধু গায়ে একটু পানি ঢেলে দেয় সঠিকভাবে গোসল আদায় করে না. এমন ব্যক্তিদেরকে জন্মে বলা হয়. আর এই সকল ব্যক্তিরা যে সকল ঘরে বসবাস করে আল্লাহ ওই ঘরকে পছন্দ করেন না. পাঁচ নম্বর হচ্ছে যে ঘরে মেয়েদের আওয়াজ তার স্বামীর আওয়াজ থেকে ঊর্ধ্বমুখী হয়. বলেছেন এমন ঘরকে আল্লাহতালা পছন্দ করেন না যে ঘরে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর আওয়াজ উঁচু হয়ে থাকে বা যে ঘরে পুরুষের চেয়ে নারীর আওয়াজ বেশি জোরালো হয়ে থাকে. এমন ঘরকে আল্লাহতালা অপছন্দ করে থাকেন এমনকি এই ধরনের ঘরের উপর সত্তর হাজার ফেরেস্তা রাতদিন লালত পাঠাতে থাকে. তাই প্রতিটা ঘরে নারীদের আওয়াজ নিচু রাখতে হবে. এমন ভাবে নম্রভাবে কথা বলতে হবে যেন কোন পর পুরুষি নারীর কথা না শুনে. যে ঘরে নারীর বা স্ত্রীর আওয়াজ উঁচু হয়ে যায়. সে রহমতের ফেরিস্তা প্রবেশ করে না. ছয় নম্বর হচ্ছে আল্লাতালা সেই ঘরকেও ঘৃণা করেন. অপছন্দ করেন যে ঘরে হারাম মাল ভক্ষণ করে সবাই. অর্থাৎ যে ঘরে হারামের টাকায় বাজার হয়, হারামের টাকায় মাছ মাংস কেনা হয় হারামের টাকায় পোশাক কেনা হয় হারামের টাকায় বাসা ভাড়া দেওয়া হয় সেই ঘরকে আল্লাহতালা অপছন্দ করেনি. প্রসঙ্গে আল্লাহতালা ইরশাদ করেন. হে মানব মন্ডলী পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু সামগ্রী ভক্ষণ করো. আর শয়তানের প্রদান কে অনুসরণ করো না নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু আয়াত নম্বর একশত আটষট্টি. অন্যদিকে হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সাহাবাইদেরকে বলেন এ পৃথিবীর যত নবী আছে আমার সবচেয়ে প্রিয় নবী হচ্ছে হজরত দাউদ আলাই সাল্লাম তখন সাহাবীরা অতি আগ্রহের সাথে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ. আপনি ইব্রাহিম আলাইহি সালাম অথবা মুসা ইসাকে বাদ দিয়ে কেন দাউদ আলাই সালাম কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন. তখন আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র নবী যে কখনই হাদিয়া বা উপঢৌকন নয় বরং নিজের উপার্জিত অর্থ খরচ করেই জীবন যাপন করত.
leave your comments