এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি,সকল দেশের রাণী সেজে যে আমার জন্মভূমি। সত্যিই এই রকম দেশটা যেনো আর কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। রং দিয়ে আঁকিবুঁকি, মুখ মণ্ডল কিংবা তুলির আঁচড়ে লেখা সাধারণ কথা লাইন যা ফুটে ওঠে দেয়ালে যাকে গ্রাফিতি বলা হয়। এ যেনো নতুন এক বাংলাদেশ। চারিদিকে তারুণ্যের জোয়ার। নিজেদের দেশকে ঢেলে সাজাতে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এই গ্রাফিতি রং কখনও হয় লালের ছোঁয়ায় রঙিন, আবার কখনও সীমাবদ্ধ সাদা কালোয়। তাই তো এটি কারও কাছে নান্দনিক চিত্র। আবার কারও কাছে সামাজিক বাস্তবতার কিংবা প্রতিবাদের ভাষা।
শহর যেন জাদুর শহর বাঙালির প্রাণের শহর। দেয়ালগুলো আজ যেন এক ইতিহাস সাক্ষী। কিছুদিন আগেও যেখানে ছিল অসুন্দরের ছাপ, আজ সেখানে যেন এক নতুন সূর্য উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের ছেলেমেয়েদের হাতের তুলিতে যেন ফুটে উঠেছে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। ‘এ শহর আর কাঁদবে না, অন্যায় আর থাকবে না’- এই আকাঙ্ক্ষা যেন সবার বুকের ভেতর এক নতুন আশার সঞ্চার করছে।
পথঘাটের ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। সেই সাথে নতুন বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান, তা ফুটিয়ে তুলছেন গ্রাফিতি আর দেয়ালিকায়। জনসাধারণের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ফুটে ওঠে দেয়ালে দেয়ালে, গ্রাফিতি বাস্তবতার কথা বলে আবার কখনও বলে পুরনো ইতিহাসের কথা। কখনও আবার প্রতিবাদ গড়ে তোলে কখনও জনসচেতনতা শহরে কত শত স্মৃতি স্থান পায় দেয়ালে।
শিক্ষার্থীরা দেওয়ালে তাঁদের ক্ষোভ থেকে লেখা বিভিন্ন স্লোগান মুছে ফেলতে শুরু করেছেন। এখন এ সব মুছে আঁকা শুরু হয়েছে। গ্রাফিতি নতুন বাংলাদেশের দেওয়ালকে নতুন রূপে রাঙাতে এখন ব্যস্ত গ্রাফিতি শিল্পীরা কোটা আন্দোলনে প্রাণ হারানো শহীদদের স্মৃতি এখনও আঁকা হচ্ছে। শহরের দেয়ালে রঙ তুলির সুন্দর আঁচড়ে এ শহর তার রূপ বদলাতে শুরু করেছে।
স্বাধীনতা এনেছি যখন, সংস্কার করি’, ‘ইতিহাসের নতুন অধ্যায় জুলাই ২৪’, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো জুলাই’, ‘আমাদের দেশের ভাগ্য আমরা পরিবর্তন করব’, ‘আমাদের দেশ আমাদেরই গড়ে নিতে হবে, পিণ্ডির গোলামি ছেড়ে দিতে হবে’। ‘ভাই কারও পানি লাগবে, পানি’- দেয়ালে দেয়ালে ছিল এরকম নানা স্লোগান।
leave your comments