সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আহত হয়েছেন কয়েক শ’।
এই দিকে চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। জানা যায়,নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হলেও, তা ছড়িয়ে পড়ে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত। কয়েক কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টার দিকে আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী ও একজন পথচারী। মঙ্গলবার বিকালে নগরীর মুরাদপুর থেকে ষোলশহর পর্যন্ত এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন মো. ওমর ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২৩) ও ফিরোজ আহমেদ (২৪)। এর মধ্যে ফারুক স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী, ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ফিরোজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এর জের ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
leave your comments