সারা বিশ্বের লাখো মুসলিমকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার পর যখন প্রায় ১৬ ঘন্টা নিখোঁজ ছিলেন সবাই একটাই আশা করেছিলেন হয়তোনঅলৌকিক ভাবে বেঁচে ফিরেবেন ইব্রাহিম রাইসি। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে নামতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই একে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করেছিল। রাইসির মৃত্যুতেও এমন কিছুর গন্ধ পাচ্ছেন তারা।
গেলো রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করে ফিরছিলেন ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে। আসার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। <span;>সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় এব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোন চিহ্ন নেই।
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির এমন মৃত্যু যেন কারোই কাম্য ছিল না। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ি এগিয়ে ছিলেন ৬৩ বছর বয়সি এই কিংবদন্তি। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের একজন কট্টরপন্থী প্রসিকিউটর থেকে একজন আপসহীন নেতা হয়ে উঠেছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। ১৯৬০ সালে মাশহাদের একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাইসি। পাঁচ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একজন আলেম হন রাইসি।
তার পিতা একজন ধর্মীয় নেতা ছিলেন। ২০১৭ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে হেরে যাওয়ার পর খামেনি তাকে বিচার বিভাগের প্রধান করেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তেহরানে ডেপুটি প্রসিকিউটর হওয়ার পর তিনি ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন যখন ইরান একটি সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে।
নিউজ ডেস্ক স্বাধীন বাংলা ৭১
leave your comments