বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভরাট খাল উম্মুক্ত করেন উপজেলা প্রশাসন। সহস্রাধিক কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার উপজেলার বরকল হাম্মন খাল (বোর্ড খাল) অভিযান চালিয়ে বরকলের ৫’শ একর জমিতে বোরো চাষাবাদের ব্যবস্থা করে দেয়ায় কৃষকদের মাঝে হাসি ফুটেছে। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মুহাম্মদ সায়েক। জানা যায়, বরকল ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে বরকল বিল ও পূর্ব পার্শ্বে সুচিয়া বিলের প্রায় ৫’শ একর জমিতে চাষাবাদ না হওয়ায় সহস্রাধিক কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি এবং জমায়েত হয়। এসময় শত শত কৃষক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ওয়াল ভাঙ্গার পরিকল্পনা গ্রহণ করার খবর পেয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় তিনি উপস্থিত কৃষকদের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর পূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শন
করে ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাষাবাদের জমিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা মোতাবেক এক খন্ড জমি যাতে অনাবাদি না থাকে সে জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কৃষকদের আবেদন ও দাবির প্রেক্ষিতে বরকলের ৫’শ একর জমিতে চাষাবাদের উপযোগী, পানি চলাচলের খাল উম্মুক্ত, জলবদ্ধতা নিরসনে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রহিম চৌধুরী বলেছেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫’শ একর জমিতে যাতে চাষাবাদ করতে পারে হাম্মান খাল (বোর্ড খাল) ভরাট উচ্ছেদ করে কৃষকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। ১৯৬৬ সালে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশ থেকে ইউ আকৃতির হয়ে হাম্মন খাল (বোর্ড খাল) খনন করে তৎকালীন গর্ভণর মোনায়েম খান উদ্বোধন করেন। যা চানখালী খালের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৯১ সালে তৎসময়ে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিএডিসি কর্তৃক পাম্প হাউজ স্থাপন করে চাষাবাদের জন্য উম্মুক্ত করে দেন। যা এখনো বহমান রয়েছে। ১৯৪৯ সালে বরকল ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের পাশে জনৈক রফিকুল ইসলাম ২০১২ সালে জমি ক্রয় করে গত কিছুদিন পূর্বে খালের চলাচলের পানি বন্ধ করলে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং চলতি মৌসুমে পুরোদমে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
leave your comments