আনিসুর রহমান- রাউজানে বসন্তের শুরুতে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে চারিদিক। গেল বছরের তুলনায় এবার ব্যাপক হারে এসেছে আমের মুকুল। যেদিকে চোখ যায় গাছে গাছে হলুদের সমারহ। কিছু গাছে মুকুলের কারণে পাতা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা। উপযুক্ত সময়ে আমের মুকুল আসায় এবার বাম্পার ফলন আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আবাহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এর ফলন। রাউজানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সড়কের পাশ, বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় বাগান করে প্রচুর আমগাছ লাগানো হয়। তাছাড়াও উপজেলার হালদা, কর্ণফুলীর পাড়, পশ্চিম গুজরা, পূর্ব গুজরা, নোয়াপাড়া, হলদিয়া, পাহাড়তলী, কদলপুর, রাউজান সদর ইউনিয়ন, গহিরা, নোয়াজিষপুর, পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের পাশে ২০১৭সালে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রীণ ফেস্টিবলে রোপিত আম্রপালিতে প্রচুর মুকুল এসেছে। যেখানে চাষীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পরিচর্যার মাধ্যমে দেখভাল করছেন গাছের।
একই সাথে বিভিন্ন সময়ে বিতরণকৃত ১০লাখের অধিক গাছের বেশির ভাগই ছিল আমগাছ যাতে এবার অধিকমাত্রায় মুকুলের দেখা মিলেছে। এতে পরিচর্যায় রীতিমত চাষিদের সহায়তা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। আম বাগানের একাধিক চাষিরা বলেন, আমের মুকুলে ছত্রাকজনিত নানা রোগ আক্রমণ করতে পারে। এসব রোগের একটি হচ্ছে শুকনা ক্ষত রোগ। এতে তাদের সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করতে কৃষি সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও উদ্ভুদ্ধকরণ সভাও আয়োজন করে কৃষি বিভাগ। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন জানান, রাউজানে ৫শত ৫০ হেক্টর জমি জুড়ে আমের চাষ হয়েছে। ১৪ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মিলে ছোটবড় ৬১টি বাগানের সবকটিতে মকুল এসেছে। গেল বছর ফলন ২২ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেলেও এবার ৩০ হাজার মেট্রিকটনেরও বেশি আশা করা যাচ্ছে । আবাহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হবে। এতে চাষিদের যে কোন সমস্যায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে সব সময় মাঠে রয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
leave your comments