আমজাদ হোসেন,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: কারও পরনে সারা আনোয়ারা লগু লাগানো টিশার্ট, কেউবা আবার পরেছেন পাঞ্জাবি। একসাথে জমিয়ে আড্ডায় মেতেছেন সবাই। কেউ বা ব্যস্ত গল্পে কেউ বা ব্যস্ত সাজসজ্জায়, আবার কয়েকজন এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে তুলছেন ছবি। দেখে মনে হচ্ছিলো জগতের সব চেয়ে সুখী ওরা। হবারই তো কথা তাদের আজ উৎসবের দিন। বলছিলাম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অন্যতম সামাজিক সংগঠন “সারা আনোয়ারা কতৃক আয়োজিত জমকালো চড়ুইভাতি,ফুটবল টুনামেন্ট ও ম্যারাথন মিনি উচ্ছ্বাসের কথা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)বরুমচড়া বশরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আড্ডা, গল্প, গান, খেলাধুলা, ভোজন সব মিলিয়ে এ এক প্রাণবন্ত দিন কাটায় আনোয়ারার অন্যতম সামাজিক সংগঠন ” সারা আনোয়ারা “। প্রকৃতিতে শীতের বাতাস ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, উঁকি দিচ্ছে বসন্ত।বরুমছড়া বশরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সাজতে শুরু করেছে নতুন রূপে। এর মাঝে চড়ুইভাতির আয়োজন এনে দিয়েছে এক অন্যরকম আনন্দ।
এদিন সকাল থেকে ১১টি ইউনিয়ন থেকে জড়ো হতে থাকে সারা আনোয়ারার কর্মরত সদস্যরা, যেখানে ছিলো নবীন ও। কুয়াশার ঘোর কাটিয়ে বেলা যখন প্রায় সাড়ে ৯টা তখন সারা আনোয়ারার সদস্যদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বরুমচড়া। পাখপাখালির মতো চারদিক মাতিয়ে তোলে সবাই। একদল যখন ব্যস্ত অনুষ্ঠানের সাজসজ্জায় অন্য দল ঠিক তখন গুছিয়ে নেয় রান্নাবান্নার কাজ।জুমার নামাজ শেষ করে বেলা প্রায় ২.৩০মিনিট থেকে শুরু হয় ভোজন। যে দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। এতটুকুতেই শেষ হয়নি সংগঠনটির আয়োজন। বিকেলে সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছিলো। একজন মাইক নিয়ে সবাইকে ডেকে পাঠান মাঝমাঠে। শুরু হয় ফুটবল খেলা। ২০ পেরিয়েও ওরা যেন এখনও শৈশবে মাতিয়ে তুলে পুরো আয়োজন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যার খানিকটা আগে চলে পুরস্কার বিতরণ এবং ফটোসেশন।সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশে চড়ুইভাতি, নবীন পরিচিতি এবং সারা আনোয়ারার মিলনমেলার আয়োজন সম্পন্ন করে সংগঠনটি।
leave your comments