প্রতিবছর ১২ ই রবিউল আউয়াল আসলে এমন দৃশ্য দেখা যায় চট্টগ্রাম নগরীতে। আল্লাহর প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পৃথিবীতে আগমের দিনটিকে এভাবেই যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে নবী প্রেমিকরা। সুরেসুরে নারায়ে তকবির নারায়ে রেসালাত, হামদ নাতে রাসূলে মুখরিত হয়ে উঠে শহরের অলিগলি।
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। ৫১তম এ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)।সঙ্গে আছেন সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ) ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম উপলক্ষে ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে এই জুুলুসের প্রর্বতন করেন আওলাদে রাসূল হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ) । এর পর থেকে গত ৫১ বছর ধরে পরিধি বাড়তে বাড়তে এখন তা চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। যাতে সমাগম ঘটে অর্ধকোটিরও বেশী নবী প্রেমিকের।
চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলাসহ তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ সুন্নী ধর্মপ্রাণ মানুষ এই জুলুসে অংশ নিয়েছেন।জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) জশনে জুলুসে অংশ করতে ভোর থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার ভক্তরা আসতে থাকে ।জামেয়ার বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র, গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখার কর্মীরা ঈদের খুশিতে মেতে ওঠেন। একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি, টুপি, পাগড়ি নজর কাড়ে সবার।
এদিকে, জুলুস উপলক্ষে নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নগর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক নির্দেশনাও।
leave your comments