আনোয়ারা প্রতিনিধি:আনোয়ারায় ওষখাইন আলী নগর রজায়ী দরবার শরীফের বিশ্ব নূর মঞ্জিলের উদ্যোগে রজায়ী যুব ত্বরিকত কমিটি বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনায় ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুশ বের করা হয়েছে।গতকাল শুক্রবার আছরের নামাজের পর ওষখাইন দরবার শরীফ থেকে শত শত ভক্ত, মুরিদ ও মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে জুলুশটি বের করা হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রজায়ী বিশ্ব নূর মঞ্জিলে এসে জুলুশটি শেষ হয়।
শিশু-কিশোরসহ সব বয়সীরা ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মোস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম ধ্বনীতে, কালিমা খচিত পতাকা নিয়ে শত শত আশেকে রাসূল (দঃ) জুলুসে অংশ নেন।আর তাদের কণ্ঠে ছিল নবীজীর নাম ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সবার প্রতি শুভেচ্ছার শ্লোগান।
জুলুছে নেতৃত্ব দেন রজায়ী দরবারের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত রাহনুমায়ে শরিয়ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদুল্লাহ রজায়ী (মাঃজিঃআঃ)। এসময় পীরজাদা আব্দুল কাদের চাঁদ মিয়া, পীরজাদা রবিউল হোসেন রজায়ী,পীরজাদা ফখরুদ্দীন রাযী,পীরজাদা শাহরিয়াল কামাল সাদিব রজা,পীরজাদা খাইরুল বশর ছিদ্দিকী (ফয়ছাল)সহ আওলাদে আলী রজাগণ উপস্থিত ছিলেন।পরে শাহজাদা ইমাম উদ্দীন রজায়ীর সঞ্চলনায় কুরআন সুন্নাহ আলোকে তকরির করেন মাওলানা জিয়াউল হাসান আত্তারী,মাওলানা কামরুদ্দীন নূরী।জুলুস শেষে মিলাদ, কেয়াম এবং দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন পীরজাদা মৌলানা নাঈম উদ্দীন রজায়ী।সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন শাহজাদা মিরু।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজির (সা.)শুভাগমনে আল্লাহপাক ফেরেশতাদের নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এ ছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, এ জুলুছ নতুন কিছু নয়। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে, এটা নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।
leave your comments