গত শুক্রবার, ২১ জুলাই ২৩ ইং চট্টগ্রাম নগরীর রিজেন্ট পার্ক কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগ এসএসসি ২০০৮ এইচএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পুনঃমিলনি আয়োজন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এস এম ইকরাম হোসাইনের পরিচালনায় আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা এডমিন কাজি সামি, মডারেটর ফয়সাল চৌধুরী, নাশিদ পারভিন, সাব্বির হোসাইন, গাজি শাহীনসহ প্রমুখ। আয়োজনের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন ইফতেখার মিশু। দ্বিতীয় পর্বে ছিলো নানাজনের প্রতিভার প্রতিফলন; কেউ নাচ, কেউ গান কিংবা মূখাভিনয় দিয়ে মনোরঞ্জন করেছে, উপভোগ্য করে তুলেছে পুরো আয়োজনকে; এছাড়াও রাতব্যাপী ছিলো ডিজে আয়োজন।
আয়োজনের সমন্বয়কদের একজন এস. এম. ইকরাম হোসাইন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সামি, ফয়সাল, হাসিব, সাদাফ, আনোয়ার, সাব্বির, সাকিব, রিফু, কালাম, আরাফাত, ঝিনুক, মান্নান,আওয়াল, মাসুদ এভাবে একে অন্যের সাথে পরিচয়; একে একে ভারী হতে থাকে এই পরচিতির পাল্লা, অনেকটা শখের বশেই আমরা খোলেছিলাম পুরো বাংলাদেশের ০৮_১০ ব্যাচের সহপাঠীদের নিয়ে ‘SSC 08 HSC 10 Batch’, একইসঙ্গে ‘SSC 08 HSC 10 Batch Chattogram’; সেই শুরু আমাদের বন্ধুত্বের গল্পের। দেখতে দেখতে এটি আজ প্রায় কয়েক হাজার সদস্যের পরিবার, প্রত্যেকেরি স্ব স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের গেঁথেছে একসূতোয়; গত ২০২০ এও আমরা চট্টগ্রাম অভয়মিত্র ঘাট – কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কে দীর্ঘ নৌকাযাত্রায় মেতেছিলাম, তারপর ছিলো রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্ক, শুভলং ট্যুর, ফয়েজলেক সী ওয়ার্ল্ড; এভাবেই এটা ছিলো আমাদের ধারাবাহিক চতুর্থ আয়োজন। তাছাড়া কর্মের মাঝে ফুসরৎ পেলেই আমরা সবাই মেতে উঠি আড্ডা আর গল্পে, ঢাকা কিংবা যেকোন জেলায় গেলেও ব্যাচমেটদের খোঁজে নিয়ে আড্ডা চাই ই চাই। এই আড্ডা যে কেবল সময় পার তা কিন্তু নয়, এখান থেকেই উঠে আসে আমাদের নানান সৃজনশীল চিন্তা; একে অপরের সহযোগী মনোভাব, নিজ নিজ কর্মসেক্টর থেকে পরস্পরের পরিবার পরিজনের বিপদে এগিয়ে আসা, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার পরিকল্পনা! প্রতি শীতে ব্যাচমেটরা মিলে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রমজানে এতিমদের সাথে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ, করোনাকালীন ত্রাণ বিতরণসহ অনেক মানবিক উদ্যোগও আমরা নিয়েছিলাম এই গ্রুপ থেকে।
ভাবুন তো একবার, একটা দেশের সমবয়সী যুবারা যখন একত্রিক হয় কতোটা বৈপ্লবিক পরবর্তন নিয়ে আসতে পারে এটি দেশের জন্য?
তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, আশা করি আমাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকবে আর এই বন্ধনের মাধ্যমে আমরা দেশে একটি বৃহত্তর দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলবো সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে আর নিজেদের নিয়োজিত করবো দেশ ও মানুষের সেবায়। জয় হোক বন্ধুত্বের।
leave your comments